আতিক ফারুক

লেখক

মায়ের শূন্যতার চেয়ে আর কোনো স্বরূপতা নেই

মায়ের শূন্যতার চেয়ে আর কোনো স্বরূপতা নেই

গদ্য | ১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

প্রতিদিনই মায়ের কথা মনে পড়ে—মায়ের পাশাপাশি বসে থাকা কী সুন্দর দিন ছিল আমাদের। কাকে বলা যাবে আর, মাগো—আমার মন ভালো নেই, আমাকে একটু আদর দাও। এইযে এমন সন্ধ্যা নেমে এসেছে, কালো পোশাকপরা ঘনঘোর রাত্রি, আমার একটুও ভালো লাগে না। ঘুম আসে না, বহুরাত জেগে থাকি, চোখ বুজে ঘুমোতে চাই—কিন্তু হঠাৎই কে যেন কেঁদে ওঠে, কে! আমার ভেতরের ছোটো-ছোটো বেদনারা। জীবনের সকল অভিলাষ ফুরিয়ে যায়, ভগ্ন হৃদয় আর কত টুকরো টুকরো হতে পারে বলে মনে করো তুমি!

অবাক হয়ে ভাবি—কতদিন হয়ে গেল মা নেই; তবু একচ্ছত্র একটা সংকল্পের লালসা আমার ভেতর থেকে মোছেনি। মায়ের কবরের পাশে শত-শত নয়নতারা ফুল ফুটেছে, দেখি—মা গতরাতে আমার স্বপ্নে এসেছে। খুব অসুস্থ তিনি, আমি তার সেবা করে চলেছি— তিনি এখনো জীবিত। অথচ ঘুম ভাঙার পর পাড়ার পাখিগুলো আমাকে এতটাই বেদনাহত করে গেল, আজ সারাদিন আমার চোখে অশ্রু ছিল। মায়ের যে শূন্যতা—আজীবন বয়ে বেড়াতে হবে। ঘুমের কুয়াশা ভেদ করে সাদা কাপড়ে মোড়ানো মা আমাকে ডাকছে, আয় খোকা, আয় আয়। কেউ কি কখনো জানে, মা-হারা মানুষেরা পৃথিবীতে কীভাবে বেঁচে থাকে!

মাগো—সময়ের উতরোল ফেলে একদিন আমি তোমার সকল ভরসা মুড়িয়ে ধরব, তোমার কবরের পাশে সেদিন অজস্র ফুল ফুটবে। আমি বলব, দেখো মা—তোমার সন্তান কথা রেখেছে, তোমাকে ঘিরে থাকা যে-সকল সন্ধ্যামণি খুঁজে খুঁজে হারিয়ে গিয়েছে একদিন—আমি তাদের বলব, তোমরাও ফিরে এসো আমাদের উঠোনে, মায়ের নতুন একটা স্বপ্ন পূরণ হয়েছে আজ।

পোল্যান্ডের কাতোউইচ শহরে যেদিন আমি পা ফেলব, সেদিন থেকেই আমার ভাবনারা ডানা মেলে উড়বে। তোমার বাড়ির চারপাশে, তোমার বুনানো এই ঘর, এই সংসারে নিশ্চয়ই আলো-আলো, স্বপ্ন-স্বপ্ন, ঘোর-ঘোর একটা অনুরণন বেজে উঠবে, দূরের তারারাও হাসবে। যাবতীয় ক্লেশ মুছে যাবে সেদিন। তুমি যেখানেই থাকো, আমার চোখের চারপাশে তুমি ছাড়া আর কোনো আলো নেই, আমার জীবনজুড়ে আর কোনো ভালোবাসা নেই মা।

মায়ের চোখের পাতায় পাতায় ভীষণ একটা এলোমেলো জীবন আমার।

ছোটোবেলা খেলনা ভেঙে গেলে কোনো এক সুতোয় নতুন খেলনা পেয়ে যেতাম। কিন্তু মা হারিয়ে গেলে নতুন মা কখনোই পাব না এমন কথা মা প্রায়-দিন রেগে গিয়ে বলতেন। আজ নয় শুধু, প্রতিরাত, প্রতিদিন, এমনকি প্রতিবার ঘুমোতে গেলে মা আমার স্বপ্নে আসে। মায়ের এই শূন্যতা কীসে মোড়ানো!— যা-কে কোনোকিছুই দিয়ে পূর্ণ করে তোলা যায় না! আমার যে কী নিঃসঙ্গ লাগে, কী ভয় লাগে! কীযে অর্থহীন জীবন আমি বয়ে চলেছি মা চলে যাবার, কাউকে বোঝাতে পারব না।

আমি সকল শব্দ ভুলে যাচ্ছি, আমার ভাবনা ফ্যাকাসে হয়ে যাচ্ছে, আমি ঠিকভাবে দাঁড়িয়ে থাকা ভুলে যাচ্ছি মা। তুমি ফিরে এসো...

*

আমার মা হয়তো মারা যাবে—আর আমি পাখিদের ডানায় চড়ে উড়ে যাব গাঙচিলের দেশে। এমনই ভেবেছিলাম যখন মায়ের চোখে ধীরে ধীরে অসুস্থতার ক্লান্তি জড়ো হচ্ছিল—গাঙচিলের দেশে না হলেও আমি আজ বহুদূর চলে এসেছি—কিন্তু ঠিক এমন বেভুল পথ সেটা, যেখান থেকে আর ফেরা সম্ভব নয়। ফিরেই বা কী করব—মায়ের আদর তো পাব না কোথাও, পৃথিবীর কোথাও কেনা যায় এ মায়া!

*

কে আছে এই সমস্ত কুলহীন জীবনের পাশে! মা নেই, আমার ভেঙে পড়া মনের ভেতর আর কেউ কখনোই প্রবেশ করতে পারবে না। মাগো—আমাকে একটু জল দাও—তুমি নেই, তোমার অজস্র স্মৃতি নিয়ে আমি বেঁচে আছি। আজীবন এই দুঃখ নিয়ে আমাকে বেঁচে থাকতে হবে মা—তোমার কবরের পাশে আজও দাঁড়াতে পারিনি, বহুদূর—দিল্লির আকাশে আজ কত যে রোদ, কত যে উদাস রোদ ছায়া হয়ে উড়ে যায়—সবখানে কেবল তোমারই স্মৃতি, তোমারই মুখ। আমার একটুও ভালো লাগছে না মা।

আরও পড়ুন

দূর জীবনের এ কেমন পরাভূত হাওয়া

দূর জীবনের এ কেমন পরাভূত হাওয়া

গদ্য | ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

যেকোনো প্রস্থানই অনন্ত বেদনার ছায়া ফেলে চলে যায়। কলকাতা বইমেলার পর্দা নেমে গেল আজ, কী অবাক শীত-শীত আচ্ছন্নতা চারদিকে—কতজন, কত মানুষের সঙ্গে বন্ধুতা হলো। কী হবে? এই হতচ্ছাড়া ছোট্ট পাথরটাকে কতজনই তো ছেড়ে গেছে। একাকি নিছানো অন্ধকারে মুখ থুবড়ে কতদিন কেঁদেছে সে। খুব ক্লিশে যন্ত্রণা। তবু এই চেনা-চেনা মানুষগুলো আমার হৃদয়ে একটা মীনরঙ্গ পাখি হয়ে বহুদিন বেঁচে থাকবে।

মানুষের কাছাকাছি না গেলে কখনোই মানুষকে আবিষ্কার করা যায় না। আমি সবার সঙ্গেই কথা বলি—অনেককিছু শেখা যায়, কৌতূহলী না হলে কখনোই ভিন্নতর সৃষ্টির গতিপথ তৈরি হয় না। আমি কলকাতার প্রায় দু’মাস যাপনের দিনগুলোতে প্রতিদিনই কিছু না কিছু শিখেছি, কখনো পায়ে হেঁটে, কখনো দীঘির পাড়ে পাতানো বেঞ্চে বসে, প্রায় দেখেছি একটা অন্ধ লোকের সঙ্গী একটা নিরীহ কুকুর, যে তাকে পথ দেখায়, বন্ধুর মতোই আগলে রাখে।

We live in a wonderful world that is full of beauty, charm and adventure. There is no end to the adventures we can have if only we seek them with our eyes open.

–Jawaharlal Nehru

আমি এক নতুন পৃথিবী-কে দেখতে চেয়েছি। চোখ-কান খুলে তাকানো নয়, মনের দুয়ার খুলে, শিরধার উঁচু করে তাকাতে চেয়েছি চারপাশে—পাহাড়, সমুদ্র বা আকাশের পাটাতন থেকে খুবলে নিতে চেয়েছি মনের সমস্ত অশুভ দর্পণ।

কী হলো—রাস্তাপারাপারের সময় কার আঙুলের সাথে যেন আমার আঙুল ছুঁয়ে গেল—তার চোখের দিকে চোখ পড়তেই কী অদ্ভুত মায়া খসে পড়ল করুণাময়ী মেট্রো স্টেশনে। আমি সেই দু'খানা আবেগ নিয়ে ফিরে এলাম।

দীপ শেখর চক্রবর্তী, আমার প্রিয় দীপ’দা। মুন্নী সেন, শুভদীপ নায়ক আর শিপ্রা মালাকার, শেষ সময়ের সান্নিধ্য আমাকে এত আনন্দ দিয়েছে আজ। ফেরার পথে শুধু মনে পড়েছে খানিক আগেই তো কিছু একটা ছিল, এখন একেবারেই সুনসান নীরবতা।

তবু যদি—আবারও দেখা হয়ে যায়, কোনোকোনো খেয়ারি সন্ধ্যায়। জীবনের জলপ্রপাত কেবলই নিজেকে জানার। সবকিছু অতিক্রম করে নিজেকে ভালোবাসো, নিজেকে জানো প্রিয়তম বন্ধু, কোনো ভয় নেই, কোনো সঙ্কোচ নেই।

২.

কী হলো—পৃথিবী থমকে দাঁড়িয়েছে না তোমার হস্তরেখায় কে যেন বলেছিল একটা শিশুজন্মের মতো অকথ্য বেদনাবহ সময় তোমারও আসবে। ঠিক তা নয়, হয়তো আমিই আমাকে বলেছিলাম ঘোর স্বপ্নে, এক অজানা বিন্দুবৃত্তের ভেতর। জরাজীর্ণ, লক্ষ্যচ্যুত, অনুতাপ, বেদনা, ক্রমাগত বিচ্ছিন্নতা, বিমর্ষ, কলহ, জঞ্জাল আর এত এত হইহুল্লোড় কখনোই আমি চাইনি।

আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আছি। কি অপলক দৃষ্টি—আমিই আমাকে দেখতে পাচ্ছি, ঠিক ভেতর-বাইরের অবক্ষিপ্ত নীরবতা যেন। কতদিন নিজের সঙ্গে কথা হয় না। তুমিও দেখো, নিজেকে, ভাবো—কেমন আছো? এদিকটায় খুব শৈত্যপ্রবাহ আজ, তুমি ঘুমিয়ে পড়ো, আয়নার নির্জনতার চেয়ে আর কোনো বিভোর শ্রোতা নেই।

৩.

বাংলাদেশের সীমানা পেরিয়ে এলেও মন প’ড়ে থাকে মোহাম্মদপুরের গলি-ঘুপচিতে। ঢাকার তল্লাটে পাথরখচিত রাত ঘিরে চিররহস্যের ঘূর্ণনে সন্ধ্যার উপচে পড়া ভিড় ঠেলে যেন আমি দাঁড়িয়ে আছি ঠিক আসাদগেট মোড়ে। কিন্তু না, আমাকে এক্ষুণি বাসায় যেতে হবে। শান্তিপার্কের ছোট্ট বাসাটা গত দেড়মাস ধরে আমার আশ্রয়, সারাদিন কিছু না হলে লেপটেসেপটে শুয়ে থাকি, জানলার পাশে বসে বই পড়ি, ছোট্ট জানালা খুলে আকাশের দিকে চেয়ে থাকি, কী বিস্ময় লাগে! কী অদ্ভুত এ আকাশ!

কলকাতায় আসার পরদিন থেকে দুর্দান্ত কিছু বই সংগ্রহ করেছি। কলেজস্ট্রিট গেলে খালি হাতে আর ফেরা হয় না। সেই পুরোনো অভ্যেস মস্তিষ্কে ঠেসে গেছে। সেদিন কলকাতা বইমেলায় দীপ’দা, মানে প্রিয় দীপ শেখর চক্রবর্তী’র সঙ্গে এতটা দারুণ সময় কাটিয়েছি। গত দেড় মাসের সবচেয়ে ভালো দিন ছিল আমার জন্যে। তারপর থেকে আজও অব্দি রুম থেকে বেরোয়নি আর, বাইরের এইসব হট্টগোল আমার ভালো লাগে না। যদিও আমাদের কলোনিতে কি যেন অদ্ভুত নৈঃশব্দ্য আছে—মানুষের নরম ভাষা, হলুদ আলোর করতালি আর একাকি বিষণ্ণ মানুষের নির্জীব কান্না।

দূর জীবনের এ কেমন পরাভূত হাওয়া! বলো।

পুরোটা পড়ুন
শিথানে গদ্যের অপূর্ব ব্যঞ্জনা

শিথানে গদ্যের অপূর্ব ব্যঞ্জনা

গদ্য | ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

শতাব্দীর স্মৃতিচিহ্ন কখনো এরকম এক ঘোরলাগা সময়ের সাথে ছায়াচ্ছন্ন সবুজ অথচ বিবর্ণ দেয়ালঘেঁষা কলকাতার মুখর গলিগুলো আমাকে আবিষ্ট করে রেখেছে। সেই কবে এসেছি, এখনো বেরোয়নি সেভাবে। লিটলম্যাগাজিন মেলায় খুব গোছানো আয়োজন দেখে মন ভালো তো হলো কিন্তু লিটলম্যাগ নিয়ে আমাদের বাংলা একাডেমির কঞ্জুসপনা আমাকে প্রতিবারই হতাশ করে।

ব্যক্তিগত স্বর, সংস্কৃতি, কবিতা আর ফেনিল বৈঠক সেরে কতিপয় কবিবন্ধুদের সঙ্গে আজকের মতো আলোচনা শেষ হলো। দেবারতি মিত্রের প্রয়াণ খুব গভীরভাবেই আমাকে আহত করেছে। কিছুদিন আগেই তার লেখার সঙ্গে পরিচয় ঘটেছিল।

২.

শান্তিপার্কের চারতলার ছোট্ট একটা রুমে আমি, আমার মামাতো ভাই গাদাগাদি করে আছি প্রায় মাসখানেক হলো। কয়েকদিন পেরিয়ে যায় আবদ্ধ রুমে, আমাদের রুমের ছোট্ট জানালা থেকেই আকাশের অবাক করা খণ্ডাংশ চোখে পড়ে, পাশের বিল্ডিংয়ের বেলকনি, ছাদে টানানো রশিতে ঝুলে থাকা নানান রঙের পোশাক, ছাদের কার্নিশে থরে থরে সাজিয়ে রাখা বৃক্ষচারার টব, তাহলে আমি বাইরে বেরিয়ে কোথায় যাব যদি জানালা খোললেই এত মুগ্ধতা ঘনিয়ে আসে।

৩.

একদল অসুস্থ শুয়োর ছড়িয়ে আছে আমার চারপাশে। যারা আমার পথ আটকাতে চায়—ওদের জুতোটপেটা করে বিতাড়িত করলাম আজ। ‘ক্ষতিকারক সবকিছুই বিতাড়িত করতে হবে জীবন থেকে’ এক বিদগ্ধ মনীষী একদা বলেছিল আমাকে।

৪.

এ কোন অশালীন শীত নেমে এলো সারা কলকাতায়—আমার হাত-পা জমে যাচ্ছে। হলুদ আলোয় একপাল অনুগামী তরুণদল তাদের বৃত্তের ভেতর হাঁটছে। অথচ আমার শিথানে গদ্যের অপূর্ব ব্যঞ্জনা।

পুরোটা পড়ুন
ট্রেনের কামরায় হুবহু’র পথচলা

ট্রেনের কামরায় হুবহু’র পথচলা

গদ্য | ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

অনেকেই হয়তো হুবহু সম্বন্ধে জানতে চায়—অনেক প্রশ্নও জমা হতে পারে, মনে হতে পারে এ আবার কেমন নাম! হুবহু! কিন্তু হুবহু প্রথম সংখ্যা ছেপে আসার পর গড়গড় করে হাজারখানেক কপি ফুরিয়ে গেল কয়েকদিনেই! সম্পাদক হয়ে আমার নিজেরই চক্ষু চড়কগাছ! কেননা, আমি পূর্বে ‘বেয়ারিং’সহ বেশ কয়েকটা লিটলম্যাগের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম। বেয়ারিং আমাকে যেটুকু পরিচিত করেছে, যেটুকু সমাদৃত করেছে, হুবহু’র হয়তো সেই সময় এখনো আসেনি। কিন্তু হুবহু শুরু থেকেই আমাকে বেশ পরিতৃপ্ত করেছে। বেয়ারিং নিয়ে এখন আর তেমন ভাবনা নেই। আপাতত চিন্তার পরিবর্তন হয়েছে। আগামীকালের ভাবনা সম্পর্কে বলতে পারছি না।

তো, আমি যখন কয়েকজন সাহিত্যপ্রেমী তরুণের সঙ্গে কমলাপুর থেকে চিটাগং মেইলে চড়ে সীতাকুণ্ডের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলাম। তখন হঠাৎ করেই বহুদিনের জমে থাকা একটা পরিকল্পনা তাদের জানালাম। তারা সবাই আমাকে সাহস দিল, তারা বলল অন্তত তাদের জন্য হলেও যেন কাজটা শুরু করি।

হুবহু প্রকাশ হবার পর থেকে এত এত মানুষ আমাদের প্রশংসা করেছে—শুধু দিনলিপি নিয়ে পূর্বে কোনো কাজ হয়নি, ওপার বাংলার মানুষেরাও আমাকে সাধুবাদ জানিয়েছে এর জন্য। কিন্তু ব্যক্তিগত ব্যস্ততার ফলে হুবহু-কে নিয়মিত সময় দিতে পারছি না বলে আমারও যে দুঃখ হয়।

হুবহু’র শুরু থেকে আজ অব্দি আমার সঙ্গী ছিল এফাজ মোবারক এবং তাশরিফ মাহমুদ। ওদের মতো চঞ্চল তারুণ্য পেয়ে আমি আনন্দিত। সর্বোপরি সবার জন্যই অনেক অনেক ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা।

*লেখাটা কেমন যেন ছাড়াছাড়া। শুধু লিখতে হবে তাই লিখলাম, নয়তো আরও পরিমার্জনা করা যেত। ধন্যবাদ।

পুরোটা পড়ুন